সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
এবার হঠাৎ বর্ষণমুখর দিনে জন্মভূমির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম। যাত্রাবাড়ীর যানজট ছাড়া এবারের ভ্রমণটা ছিল এককথায় মন জুড়ানো। পুরো রাস্তা মখমলের মত মসৃণ আর আরামদায়ক। সাথে ক্যামেরা ছিল, কিন্তু তাড়াহুড়োয় পর্যাপ্ত ব্যাটারি না থাকায় অনেক ছবি তোলা যায় নাই।
মাওয়া লঞ্চঘাট থেকে পদ্মায় ভেসেছি আমরা।
ঘাটের পাশেই ইটের ভাটা। নদীতে গরুর গা ধুইয়ে দেয়া আর নিজেরাও ডুব দেয়ার কাজ সারছে মাওয়া পাড়ের লোকেরা।
একটা ফেরিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাই।
একটা লঞ্চও পেছনে পড়ে গেল।
অবশেষে কাওরাকান্দি ঘাটে পৌঁছে গেলাম।
পরিবহণটার সিটগুলো ছিল বেশ আরামদায়ক, আর একটু বৃষ্টিও নেমেছে, এজন্য কোন ফাকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ নরম হাতের ধাক্কা।
-এই দেখো, গাড়ি জয়বাংলা পাম্পে থেমেছে। আমার একটু ইয়ে চেপেছে।
কি আর করা! আরামের ঘুমের বারটা বাজিয়ে টয়লেটের খোজে নামলাম তাকে সাথে নিয়ে। নগরকান্দার এ তেলের পাম্পটি সবাই জয়বাংলা পাম্প নামে চেনে, যদিও অন্য কি একটা নাম আছে।
হরিদাসপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেতুর ওপর থেকে তোলা। গোপালগঞ্জ শহর এখান থেকে প্রায় দশ মিনিটের পথ।
ঘোনারপাড়ার কাছে চলে এসেছি। সোজা গেলে মোল্লাহাট সেতু দিয়ে খুলনা-বাগেরহাট-মংলা। ডানে গোপালগঞ্জ শহর। আমরা বামে যাবো।
টুংগীপাড়া হাইস্কুল। এখানে আসলে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। অনেক মান-অভিমান আর স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
এই সেই ঐতিহাসিক টুংগীপাড়া মোড়। হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালবাসার মানুষটি ঘুমিয়ে আছে এখান থেকে সামান্য একটু দুরে। আপনাদের সবাইকে দাওয়াত এখানে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য।
[ব্যাটারি ডাউন হওয়ায় শেষ ছবিটা ভাল ওঠে নাই]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন