শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বাংলা লিপি এবং লিপিকলার ইতিহাস



বাংলা লিপি এবং লিপিকলার ইতিহাস
সংস্কৃত ভাষায় দেবনাগরি অক্ষরে লিখিত গৌতম বুদ্ধের জীবন কথা ভিত্তিক 'জাতক' গ্রন্থে বুদ্ধ দেবের শৈশবে শিক্ষা লাভের কাহিনী বর্ণনা কনতে গিয়ে ৬৪টি লিপির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে "বঙ্গের লিপি" কথাটি আছে।
এছাড়া দেওয়ান গোলাম মোর্তজা, জৈন লেখকদের 'সমথায়ঙ্গ' ও ভগবতী সুত্ত' গ্রন্থে বঙ্গলিপির কথা আছে বলে জানিয়েছেন।

প্রাচীনকালে বাংলা গ্রন্থ লেখার জন্য হস্তলিপিকারগণ প্রয়াস চালাতেন যাতে লেখাটা যেন আকর্ষণীয় হয়। হরফ দিয়ে শিল্পকলা করার কথা জানা যায় না।
বাংলা লিপিকলা সাম্প্রতিক সময়ে চালু হয়েছে।

বাংলা ভাষা লিখতে বিভিন্ন লিপির ব্যবহার
এ অঞ্চলে মুসলিম ও ইংরেজ আমলে আরবি, ফারসি বা উর্দু হরফে বাংলা লেখা ছাড়াও সিলেটি, নাগরি, কায়েথি, উড়িয়া, নেওয়ারি, রোমান ও আসামি লিপিতে বাংলা গ্রন্থ রচনার নজির রয়েছে।

মুসলিম আমলে মুসলিম এবং হিন্দু লেখক নির্বিশেষে আরবি-ফার্সি হরফে বাংলা পুঁথি লিখেছেন। এ রকম অনেক পুঁথি ঢাবি লাইব্রেরিতে আছে।

আর ৬০দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামে জুলফিকার আলি আরবি-ফার্সি(উর্দু) লিপিতে একটি পত্রিকা বের করতেন। এর কপি আমার কাছে এখন নেই। তবে খুঁজে দেখা যেতে পারে।


আমার কাছে যে নমুনাটি আছে, এটি ঢা.বি'র পুথিশালায় রক্ষিত আরবি হরফে লেখা বাংলা "জেবল মুলুক সামারোখ" পুথির একটি পাতার ছবি।

ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় তার OBDL-এর প্রথম খণ্ডে আরবি লিপিতে বাংলা লেখার কথা উল্লেখ করেছেন,
তিনি 'যোগি কলন্দর'র কিছু নমুনা তুলে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন।

সূত্র- বাঙালা-লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস


কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলতে চাইলে আমার মেইলে বলতে পারেন- shekherpo@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন